রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনের সুনামিতে ভেসে যাবে সরকার: মিন্টু

news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ‘আমরা এখনও আন্দোলন শুরু করিনি। তাতেই সরকারের লোকেরা বলে তারা নাকি ধাক্কা দিলে পড়বে না। আমি বলবো- কত বড় ধাক্কা লাগবে? তুফানের সঙ্গে কিন্তু সুনামিও আসে। দরকার হলে আমরা সবাই মিলে সেটাও তৈরি করব। আন্দোলনের সুনামির ধাক্কায় এই সরকার ভেসে চলে যাবে।’

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে পানির ট্যাঙ্কের সামনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অব্যাহতভাবে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি জানান এবং গতকাল সোমবার চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলি ও হামলার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।

সমাবেশে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘আমরা অতীতে দেখেছি আওয়ামী লীগের ডাকে ২০০ জন লোকও আসত না। সামনে দুজনও আসবে না। আওয়ামী লীগ এখন দেশে দুঃস্বপ্নের নাম। কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখা যাবে না। এরা নিজেদের স্বার্থে দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে। দেশকে রক্ষা করা আমাদের সবার ঈমানী দায়িত্ব।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজকে দেশের লোক বহু কষ্টে আছে। সরকার বলছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আসলে বিশ্বে এখন তেলের দাম কমেছে ২৫ শতাংশ। দেশে এগুলোর দাম কমানোর কোনো লক্ষণ নেই। তারা বলে ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আছে। ২৪ হাজার নাকি উৎপাদন হচ্ছে। তাহলে এত লোডশেডিং কেন? কারণ তাদের দুর্নীতি ও লুটপাট। তাদের বিদায় করতে না পারলে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের চারদিকে শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি। এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছে। অসংখ্য টাকা পাচার করেছে। আমি চাই, ১০ দফা মেনে নিয়ে সরকার পদত্যাগ করুক। তা না হলে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। আমরা কেবল আন্দোলন শুরু করেছি। কঠোর আন্দোলন আসছে। কোনোভাবেই এই সরকার থাকতে পারবে না। দেশ ও জনগণের অধিকার রক্ষা এবং জনগণকে বাঁচাতে যা কিছু করা দরকার সব করা হবে ইনশাআল্লাহ।’

বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। পরিচালনায় ছিলেন জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, মুসলিম লীগের (বিএমএল) অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম ও ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাসেমসহ জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘২৫ জানুয়ারি বাকশাল দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালনের লক্ষ্যে সারাদেশে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি করা হবে।’ অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশ শেষে ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্ক সংলগ্ন রাস্তা থেকে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবারও বিজয়নগরে ফিরে আসে।

 

এ জাতীয় আরও খবর