শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক দৈন্যের কারণে বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করতে ব্যর্থ বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

news-image

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ও চিন্তার দৈন্যের কারণেই বিএনপি বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করতে ব্যর্থ এবং তারা ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু একদিন সময় আসবে তারাও বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করবে।’

বুধবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জাগপা সভাপতি একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ বাবলুর সভাপতিত্বে ও দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নয়, বঙ্গবন্ধু পুরো জাতির। বাংলাদেশ, ভারত থেকে শুরু করে উপমহাদেশ এবং সমগ্র বিশ্বের বাঙালির কাছে বঙ্গবন্ধু একজন পূজনীয় নেতা। বঙ্গবন্ধু তাই সমগ্র বাঙালির। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করতে চায় না। এটি তাদের ব্যর্থতা, রাজনৈতিক দৈন্য, চিন্তার দৈন্য। এই কারণেই তারা ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করেছিল। আজকে তারা ধীরে ধীরে ইতিহাসের পাতা থেকে ঝরে যাচ্ছে। এটিই বাস্তবতা, এটিই ইতিহাসের রূঢ় সত্য। একদিন সময় আসবে তারাও বঙ্গবন্ধুকে এবং বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্বীকার করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন একটি উন্নত-সমৃদ্ধি বাংলাদেশ রচনার পথে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আজকের প্রজন্মের অনেকে হয়ত জানে না, আমার এই কথাটি কতটা বস্তুনিষ্ঠ- ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, তখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ। তিনি যখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, সেই আন্তর্জাতিক অপশক্তি ও তাদের দেশিয় দোসরদের চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, যার ধমনিতে, শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবহমান, তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। যদি তাই হতো, তাহলে তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে করতেন। কিন্তু তা করেননি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার তিনি সাধারণ আদালতে করেছেন। এটি শেষ করতে ১২ বছরের বেশি সময় লেগেছে।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘উন্নত জাতি গঠনের জন্য রাষ্ট্রের সব অনাচার বন্ধ হওয়া দরকার। সম্প্রতি ধর্ষণসহ এ ধরনের যে অনাচারগুলো হয়েছে, তা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইন সংশোধন করা হয়েছে। পার্লামেন্ট অধিবেশনের জন্য অপেক্ষা না করে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে সেই আইন কার্যকর করা হয়েছে। যাতে এই অনাচার বন্ধ হয় সেজন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে। অথচ কাগজে-টেলিভিশনে দেখলাম, বিএনপি এটি নিয়েও সমালোচনা করছে। এটির কারণ একটাই হতে পারে, তারা নিজেরা ক্ষমতায় থাকাকালে এই অনাচারের সাথে যুক্ত ছিল, তাই তারা চায় না দেশ থেকে অনাচার দূর হোক।’

এ জাতীয় আরও খবর

জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সফলতায় কিছুটা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

৯টা ১০ মিনিটের ট্রেনের অপেক্ষায় স্টেশনে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত যাত্রীরা

বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার

মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে ডেকেছে ডিবি

গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে কাজ চলছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে সাংবাদিকদের বাধা ব্যাংক লোপাটকারীদেরই উৎসাহিত করবে: নোয়াব সভাপতি

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ফিলিস্তিনপন্থিদের আন্দোলন শুরু

আইপিএলে প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?

মুন্সিগঞ্জে সড়কে এক পরিবারের ৩ জন নিহত

হেলিকপ্টারে আগুন, মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচলেন দেব

শিখ নেতা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড : কানাডায় গ্রেপ্তার ৩