শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বন্দুকের জোরে সরকার ক্ষমতায় বসে আছে : খালেদা জিয়া

khaleda madamবন্দুকের জোরে সরকার ক্ষমতায় বসে আছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, এই বন্দুকই একদিন তাদের জন্য কাল হবে। সময় থাকতে আলোচনা করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ইফতার-পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে এই ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন প্রধান অতিথি ছিলেন। জোটের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও এতে যোগ দেন। ইফতারের আগে খালেদা জিয়া বিভিন্ন টেবিলে গিয়ে শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘ঈদের পর আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু করব। সরকারকে বলতে চাই, এখনো সময় আছে আলোচনা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নইলে বন্দুকের জোরে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। অনেক বড় শাস্তি ও কঠিন প্রায়শ্চিত্ত আপনাদের হবে। তাই সময় থাকতে সাবধান হোন।’

বিএনপির প্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। কারণ দেশে কোনো বৈধ সরকার নেই। যতই দিন যাচ্ছে, দেশে গুম-খুন ও অত্যাচার বাড়ছে। আগে রাজনীতিবিদরা গুম হতো। এখন ব্যবসায়ীসহ সাংবাদিকরাও বাদ যাচ্ছেন না। আর এসব গুম-খুনের সঙ্গে সরকারি দলের গুণ্ডা বাহিনী ও র‌্যাব-পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জড়িত। র‌্যাব অসংখ্য মানুষকে গুম করে হত্যা করেছে। যত দিন র‌্যাব থাকবে, দেশে গুম-খুন বন্ধ হবে না। তারা এখন সিরিয়াল কিলারের মতো টাকার বিনিময়ে মানুষ হত্যা করছে। র‌্যাব জনগণের নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আবারও এই সংস্থাটি বিলুপ্তির দাবি জানান।

ঈদের পর আন্দোলনে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জোট নেত্রী বলেন, ‘সাম্যবাদী দল জোটে যোগ দিয়েছে। আরো অনেকে যোগাযোগ করেছে। আমি বলব, ছোট-বড়, বাম-ডান না দেখে এখন সব দলকে এক কাতারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই জালেম সরকারের সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক টেবিলে বসেন এলডিপির প্রধান অলি আহমদ, রেদোয়ান আহমেদ, সাহাদাত হোসেন সেলিম, জামায়াতের আবদুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

এ ছাড়া জাগপার শফিউল আলম প্রধান, খোন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, খেলাফত মজলিশের অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, আলমগীর মজুমদার; ইসলামিক পার্টির আবদুল মোবিন, ন্যাপের জেবেল রহমান গাণি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জামায়াতের ডা. রিদওয়ান উল্লাহ শাহিদী, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, এলডিপির মামদুদুর রহমান চৌধুরী, আবদুল করীম আব্বাসী, প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন মুস্তফা, খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ ইফতারে শরিক হন।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে ছিলেন ড. আর এ গণি, তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল হালিম, বরকতউল্লাহ বুলু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান, হারুনুর রশীদ, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, শিরিন সুলতানা, রফিক শিকদার প্রমুখ।

এ জাতীয় আরও খবর

‘ভোটে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা আমি তুলবই’

পৃথিবীর বৃহত্তম দুর্নীতিতে বিজেপি: ভারতের অর্থমন্ত্রীর স্বামীর মন্তব্য

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

জায়েদ খানের নায়িকা হচ্ছেন ভারতের পূজা ব্যানার্জি

ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাকরিজীবীরা

রেল কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় : রেলমন্ত্রী

‘জলবায়ু সহনশীল মৎস্য চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে’

তৃতীয় দফায় গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিল ইভ্যালি

চার বছরে মাধ্যমিকে ১০ লাখ শিক্ষার্থী কমেছে

‘নন-লেথাল অস্ত্র ব্যবহার না হলে সীমান্ত হত্যা আরো বাড়ত’

দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির

কালোজিরা খাওয়ার ৫ উপকারিতা