বুধবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্য নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই: মন্ত্রী

news-image

নওগাঁ প্রতিনিধি : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য সঙ্কট হতে পারে বলে আভাস দেওয়া হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। এসময় তিনি নওগাঁ, কুষ্টিয়া, নেত্রকোণা ও দিনাজপুর জেলার সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক, চালকল মালিক ও সংবাদর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে। তবে কৃষকদেরও এই পরিস্থিতিতে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। নিজেদের যে সব জমি আছে তার সবটুকুতে ফসল আবাদ করলে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে খাদ্য আমদানি করতে হবে না।’

লাইসেন্স ছাড়া কেউ ধান-চাল মজুদ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘লাইসেন্স নেই এমন অনেক ব্যক্তি ধান-চাল কিনে মজুত করেন। এতে বাজারে ধান-চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়ে থাকে। বিনা লাইসেন্সে কোনো ব্যক্তি ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবেন না। লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বোরো মৌসুম থেকে ধান-চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি সপ্তাহের রিটার্ন দাখিলের নিয়ম চালু করা হয়েছে। যারা ধানের ব্যবসা করছেন, প্রতি সপ্তাহে কতটুকু ধান কিনছেন, কতটুকু ধান কোন মিলে বিক্রি করছেন, সেই হিসাব তাদের সরকারকে দিতে হবে। চালকল মালিকদেরও এই নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। যারা এই হিসাব দেবেন না, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের প্রতি সপ্তাহের রিটার্ন দাখিলের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। যে মিলাররা করপোরেট গ্রুপের কোনো ব্রান্ডের নামে চাল বাজারজাত করার চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কৃষকদের চাষাবাদে উৎসাহিত করতে সার ও বিদ্যুতে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষকদের দায়িত্ব তাদের উৎপাদিত ধানের কিছুটা সরকারি গুদামে দেওয়া। ২০১৮-১০১৯ সালে ধানের দাম বাজারে অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যায়। তখন কৃষকেরা হা-হুতাশ করতে শুরু করেন। সেই পরিস্থিতিতে সরকার কৃষকদের ধানের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে মৌসুমের শুরুতেই ধান-চাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।’

খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকারি গুদামে ধান বিক্রির সময় কোনো কৃষক বা মিলার যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন এবং মধ্যস্বত্বভোগীরা যাতে গুদামে ধান দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ধান-চাল সংগ্রহের সময় অপচয় না করে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।’

অভ্যন্তরীণ আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন। এই সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহাদৎ হোসেন।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নওগাঁ থেকে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, নওগাঁ ধান-চাউল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন, নওগাঁ জেলা মিল মালিক গ্রুপের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, অটোমেটিক রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু, নওগাঁ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আমিনুল কবির প্রমুখ।

 

এ জাতীয় আরও খবর

১৩ বছর সহ্য করেছি, আর ১৩ মিনিটও অপেক্ষা নয়: জামায়াত আমির

ইউক্রেন যু্দ্ধ নিয়ে আলোচনা, প্রতিনিধি দল নিয়োগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তুত চীন

ভাইরাল পোস্টার, ২৭ ফেব্রুয়ারি আসছে বড় চমক

ভূমিকম্পে কাঁপলো পাকিস্তান

উত্তরায় দম্পতিকে সরাসরি কোপ দেওয়া যুবক গ্রেফতার

কুয়েটে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

দীন মোহাম্মদের নিয়োগ বাতিল, নতুন পরিচালক কাজী গিয়াস উদ্দিন

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে দেবে না বিএনপি: ফখরুল

সিনিয়র সচিবের মর্যাদা পেলেন শফিকুল আলম

পিএসসিতে ৭ সদস্য নিয়োগ

নতুন ছাত্রসংগঠন আসছে ২০ ফেব্রুয়ারি, কারা থাকছেন নেতৃত্বে