বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ৪ নেতা কারাগারে, বিএনপি বলছে সাজানো

news-image

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব আহমেদ চৌধুরীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে নবীগঞ্জ থানা-পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব আহমেদ চৌধুরী (৪০), নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি এনাম উদ্দিন, নবীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল হোসেন চৌধুরী, দেবপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বকুল মিয়া ।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ‘সরকারবিরোধী কার্যক্রম’ করার লক্ষ্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা নবীগঞ্জ শহরতলীর হাজারী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সমবেত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।

ইটপাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণে নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতমসহ ৩-৪ জন আহত হন। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে শিহাব আহমেদ চৌধুরীসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় এসআই গৌতম কুমার বাদী হয়ে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়াকে প্রধান আসামি ও ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। এতে ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা ওই মামলায় আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া বলেন, ‘১৯ তারিখ সিলেট বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে মিথ্যা, বানোয়াট মামলা করা হয়েছে। আমাদের দলের চারজনকে নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি গত রাতে আমার বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। পুলিশ মামলায় যে ঘটনা উল্লেখ করেছে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ বিএনপির চার নেতাকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।